শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
বিদায়ী বছরের আলোচিত অন্যতম ঘটনা , রাজশাহীতে পৌরমেয়র আব্বাসের অডিও

বিদায়ী বছরের আলোচিত অন্যতম ঘটনা , রাজশাহীতে পৌরমেয়র আব্বাসের অডিও

বিদায়ী বছরের আলোচিত অন্যতম ঘটনা , রাজশাহীতে পৌরমেয়র আব্বাসের অডিও
বিদায়ী বছরের আলোচিত অন্যতম ঘটনা , রাজশাহীতে পৌরমেয়র আব্বাসের অডিও

স্টাফ রিপোর্টার: বিদায়ী বছরে (২০২১) রাজশাহীতে নানা আলোচিত ঘটনা ঘটে। তবে বছরের শেষ দিকে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সদ্য বরখাস্তকৃত মেয়র আব্বাস আলী ইস্যু যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় আবাসের এক মিনিট ৫১ সেকে-ের আলোচিত অডিও।

এক ঘরোয়া বৈঠকে নগরীর প্রবেশ দ্বারে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে আব্বাস আলী বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই বৈঠকে দেওয়া এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বিতর্কিত অডিওটি ২২ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় বর্তমানে কারাবন্দী কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

কী রয়েছে ১ মিনিট ৫১ সেকে-ের অডিওতে : ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিওতে মেয়র আব্বাস একজনকে বলছেন, ‘আমাদের যে অংশটা হাইওয়েতে। সিটি গেট আমার অংশে। ফার্মকে দিয়েছি তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে, ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর। এটা ইসলামি শরীয়ত অনুপাতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না। সব করব, যা কিছু আছে। খালি শেষ মাথাতে যেটা ওটা।’

অডিওতে আব্বাস আলীকে আরও বলতে শোনা গেছে, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, আমাকে যেভাবে বুঝাইল, ম্যুরালটা দিলে ঠিক হবে না। আমার পাপ হবে। এটা কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, আমাকে যেভাবে বোঝাইছে, তাতে আমার মনে হয়েছে যে ম্যুরালটা হলে আমার ভুল হবে। এ জন্য চেঞ্জ করছি। এ খবরটাও যদি আবার যায়, তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে, আরে যে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল দিতে চাচ্ছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এটা নিয়ে রাজনীতি করবে শিউর। রাজনীতি করলে কিছু করার নাই। তাই বলে মানুষকে সন্তষ্ট করতে গিয়ে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না তো।’

এসব কথা বলার পর আব্বাস ৯৪ শতাংশ ভোটে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন, সে কথা মনে করিয়ে দেন। কথাগুলো কারও সঙ্গে মেয়র বলছিলেন। তিনিও অস্পষ্ট কণ্ঠে মেয়রের কথায় সায় দিচ্ছিলেন। তবে ঠিক কবে কোথায় এই কথোপকথন হয়েছে, তা নিশ্চিত যায়নি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আব্বাস আলী এলাকা ছাড়েন। ২২ নভেম্বর রাত থেকে ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ওই অডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আব্বাস আলী প্রাথমিকভাবে ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডটি তার বলে স্বীকার করলেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অডিওতে বলেছেন, আমি ম্যুরালটা করলে ইসলামে ঠিক হবে না, এটা পাপ হবে, তাই সেখানে ম্যুরাল না করার কথা বলেছি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মমিন বাদি হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানী ঢাকার ইশা খাঁ হোটেল থেকে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। ওই মামলায় মেয়রকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আব্বাস আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে টানা দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইতোমধ্যে তাকে পৌর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ দলের কেন্দ্রীয় হাইকমা-ের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জান্নাত চাওয়ায় আ’লীগ নেতা বহিষ্কার : এদিকে বিদায়ী বছরের শেষ দিকে এসে আরেকটি আলোচিত ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে মোনাজাতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জান্নাত চেয়ে দেশজুড়ে সমালোচিত হন তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। তার মোনাজাতের ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হলে ১৭ ডিসেম্বর পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। একই সঙ্গে তাকে দলের সদস্যপদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply